নবীনগর উপজেলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা শহরে সড়ক পথে যাতায়াতের জন্য উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শীতারামপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কটির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে শীতারামপুর থেকে কৃষ্ণনগর বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কটির বেহাল দশার জন্য যাত্রী সাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পুরো সড়কটি জুড়ে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় খানা-খন্দ। যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে ওইসব খানা-খন্দ ছোট ছোট জলাশয়ে রূপ নেয়।সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তাগুলোর কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো ডুবে গেছে।
মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে প্রয়োজনের তাগিদে সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে চলেছে। সড়কটি দিয়ে যে ধরণের যানবাহনগুলি চলাচল করে থাকে সেই যানবাহনগুলির অবস্থাও দিন দিন নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। সড়ক পথে নবীনগর উপজেলাসহ দক্ষিনাঞ্চলের জনসাধারণ এবং রোগীরা জেলা শহরে এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। এদিকে গত ১৪মে পার্শ্ববর্তী সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর ও গাছতলা গ্রামের সংযোগ স্থলে নির্মাণাধীন ব্রিজের বিকল্প সড়কটি বৃষ্টির পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তিতে যেন হয়েছে আরো দ্বিগুণ। এই অবস্থায় সড়কটির দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষজনসহ সকল যানবাহনের চালকগণ।
কৃষ্ণনগরে বাড়ি ভ্যানচালক সোহেল রানার। ভ্যান চালিয়েই চলে তার সংসার। রাস্তা নিয়ে তার অভিযোগ, রাস্তার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার বাজেট হয়, কিন্তু রাস্তা ঠিক হয় না। আজ রাস্তা ঠিক করলে, কালকেই তা আবার নষ্ট হয়ে যায়। ভাঙা রাস্তার কারণে ভ্যানটানা খুব কষ্ট হয়। একটু ভারী মাল থাকলে গাড়ি উল্টে যায়।স্থানীয় বাজারের বাসিন্দা রমজান আলী বলেন, ‘দুদিন পর পর রাস্তা ঠিক করে, আবার নষ্ট হয়ে যায়। ট্রাক চলাচলের কারণে পিচপাথর উঠে জায়গায় জায়গায় গর্ত হয়ে আছে। তারমধ্যে একটু বৃষ্টি আসলে সব ডুবে যায়। মানুষ শান্তি মতো চলাচল তো দূরের কথা,বাজারঘাটও ঠিকভাবে করতে পারে না।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও হেফাজত ইসলাম নেতা মাওলানা মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফি জানান, আমি সদ্য নির্বাচিত হয়েছি।এই রাস্তাটির বেহাল দশার কারনে মানুষের যাতায়াতের অনেক কষ্ট হয়।এটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাস্তা,আমি নির্বাচিত হবার পর থেকেই স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতেছি। আমার বিশ্বাস মাননীয় সংসদ সদস্য দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা করবে।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. এবাদুল করিম বুলবুল বলেন,
বেহাল এই সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে সকলের ভোগান্তি লাঘবে কাজ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।