নবীনগর (ব্রাহ্মনবাড়িয়া)প্রতিনিধি:
ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগরের শিবপুরের খাঁ বাড়িতে ১৮৬২ সালে জন্ম ওস্তাদ
আলাউদ্দিন খাঁর। ওস্তাদ ও তার পরিবারকে এলাকায় চিন্তেন সাধক ফকির
হিসাবে। তাদের ভাষায় তিনি ও তার দুই ভাই ফকিরি হাছিল করে ছিলেন। তার
পিতা মাতা ও দুই ভাইয়ের মাজার রয়েছে বাড়িতে। আর ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র
মাজার ভারতের মাইহারে রাজবাড়িতে। তার পিতা সবদর আলী খাঁ কে ফকির
দরবেশ হিসাবে চিনত প্রবীনরা। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ৫ ভাইয়ের মধ্যে তিনি
সহ তিনজনই উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ সুর সম্রাট হয়ে ছিলেন। তবে তিনি তার
বড় ভাই ফকির আফতাব উদ্দিনের কাছ থেকে শিষ্যত্ব গ্রহন করে সুরকে আয়ত্ব
এনে ছিলেন শেষ জীবনে বড় ভাই ফকির আফতাব উদ্দিন সুরের কাছে হেরে
গিয়ে ছিলেন ছোট ভাই ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর কাছে। তঁার অন্য ভাই হলেন
ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ। যাদের জন্য বিশ্ব একদিন বাংলাদেশ চিনেছে। কিন্তু
৫০ বছরেও তঁাদের স্মৃতি বিজরিত জন্মস্থান বাড়ি সংরক্ষন করা হয়নি। শুধু
মাত্র এলাকাবাসির উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে শিবপুর ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ
কলেজ। আর বর্তমান সরকারের আমলে তার পিতা মাতার কবর পাকা করা হয়েছে।
তবে তাদের বসত ভিটা ধবংসের মুখে। বর্তমান সরকারের আগের আমলে
গবেষণা কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেওয়া হয়ে ছিল। এ জন্য তখন খুশি হয়েছিল
গ্রামবাসি। তারা এখন চায় দ্রুত বাস্তবায়ন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর জানান, অনেকে আসে দেখে যায়। তবে চলে গেলে আর খোজ
খবর নেয় না কেউ। শুধু প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতির কোনটির-ই
বাস্তবায়ন হয়না। ওস্তাদজির স্মৃতি যেখানে সুর সাধনা করতেন সেই জায়গা
গুলো দেখে নিলর্ভ ভাবে শুধু তাকিয়ে থাকেন। পাশপাশি ভুমিদুস্যদের হাত
থেকে ওস্তাদজির সম্পত্তি রক্ষার দাবি জানান। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি
হস্তক্ষেপ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা উত্তরসূরি ও এলাকাবাসীদের।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল সিদ্দিক বলেন, আমরা সরকারি
ভাবে সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র স্মৃতি রক্ষাত্রে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ
হাতে নিয়েছি। আশা করি দ্রুতই দৃষ্টিনন্দন অনেক কিছু বাস্তবায়ন হবে।