ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং মধ্যপাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে পারিবারিক কলহ মেটাতে এসে লাশ হলেন ওমান প্রবাসী স্বামী রুবেল(২৭)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, লাপাং গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়াকে বিয়ে করেছিলেন একই উপজেলার সাতমোড়া ইউপি’র চেলিখলা গ্রামের জারু মিয়ার ওমান প্রবাসী ছেলে রুবেল। বিয়ের কয়দিন পর সুমাইয়া প্রবাসী স্বামীকে ফেলে অন্যত্র পালিয়ে গেলে তার পরিবারের লোকজন পার্শ্ববর্তী উপজেলা মুরাদনগরের কোম্পানিগঞ্জ থেকে নিয়ে আসে।
গত ১৫ দিন পূর্বে স্বামীর বাড়ি চেলিখলা থেকে কথা কাটাকাটি করে কাউকে না বলে পূনরায় তার পিত্রালয় লাপাং চলে আসে। পরে ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে তার স্বামীর মুঠোফোনে ফোন করে তাকে এসে নিয়ে যেতে বলায় ঐদিন রাত ১১ টায় স্বামী রুবেল তার নিজ বাড়ি থেকে তার শ্বশুর বাড়িতে আসেন। পরের দিন ৯ ডিসেম্বর সকালে খবর পেয়ে নবীনগর থানা পুলিশ শ্বশুর বাড়ির রান্নাঘর থেকে তার ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করে। ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে রেখে স্ত্রী সুমাইয়াসহ তার পরিবারের সবাই বাড়িঘর তালাবদ্ধ রেখে অন্যত্রে আত্মগোপন করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জনমনে প্রশ্ন জেগেছে হত্যা নাকি আত্মহত্যা?
প্রবাসী রুবেলের পিতা জারু মিয়া, মাতা, বোন ও ছোট ভাই জানান তাকে তার স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন হত্যা করে ফাঁসি লাগিয়ে সবাই পালিয়েছে। আমরা এই হত্যার বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হব।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।