প্রতিনিধি হোমনা (কুমিল্লা)
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে নি¤œমানের গাজী সয়াবিন তেল প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে বিকিকিনি হচ্ছে। আর না জেনে শুনে তুলনামূলক কমমূল্যের এই গাজী সয়াবিন তেল কিনতে ভূল করছে না ক্রেতারা। আবার অধিক লাভের ফলে দোকানিরাও ক্রেতাদের উদ্বোদ্ধ করছে। এতে প্রতারণা ও স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ছে এলাকার সাধারন জনগণ। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ থকলেও চোখÑকান বন্ধ রয়েছে বলে জানায় কিছু ভুক্তভোগিরা।
সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুন্সিরহাট বাজারে টিপু নামের এক ব্যক্তি কয়েকজন লোক নিয়ে একটি সাদামাটা দোকানে রাতের আঁধারে নি¤œমানের তেলের ড্রাম থেকে মটরের সাহায্যে বিভিন্ন আকারের প্লাষ্টিকের বোতলে তেল ভরছেন। ওই তেল বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে বিএসটিআই’য় হলোগ্রাম ও মেয়াদোর্ত্তীণ সিল লাগানো হচ্ছে। এরপর নিজস্ব পরিবহনে করে ৮০-৯০টাকায় বিভিন্ন বাজারে পাইকারী বিক্রি করা হচ্ছে। তবে আসলেই কি বিএসটিআই’র অনুমোদন আছে কিনা জানা যায়নি।
প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম ও মোবাইল নাম্বার দেয়া যাবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যানাজার টিপু বলেন, মোবাইল নাম্বার নাই তবে মালিকের কাছে নিয়ে যাওয়া যাবে। তারপর তার সাথে হোমনা উপজেলা পরিষদ মাঠে গেলে টিপু একজন স্থানীয় সাংবাদিকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। কিন্ত তখনো সে বিএসটিআই’র অনুমোদন আছে বলে জানায়, তবে দেখাতে পারেনী।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে জানান, আসলে আমাদের কাছে বিএসটিআই’র কোন যন্ত্র না থাকায় আমরা বলতে পারছি না ভেজাল কিনা। তবে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানায়, প্রশাসনসহ অনেকেই জানে। গত এক বছর ধরেই এখানে প্রভাব খাটিয়ে এই ভেজাল তেল উৎপাদন করে যাচ্ছে গাজী মোস্তফার ছেলে গাজী লিটন। প্রশাসন কিছু না পেলে এভাবে চুপ রয়েছে