নিউজ ডেস্কঃ
১৯৭১ রনাঙ্গনের কণ্ঠযোদ্ধা, ছায়ানটের প্রাক্তন সঙ্গীত শিক্ষক হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়ার ইন্তেকাল করিয়াছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না…)
সম্প্রতি তিনি অসুস্থ হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় বারডেমের ইব্রাহীম কার্ডিয়াক সেন্টারের ICU তে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।
তিনি উনসত্তরে গণ আন্দোলনে যাঁর কন্ঠ সংগীতে উদবোদ্ধ হয়ে হাজার হাজার জনতা রাজপথ কাঁপাতো, ১৯৭০ এর পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে নবীনগর সহ পার্শ্ববর্তী অন্যান্য থানায় জনসভায় গান গেয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদানের জন্য হাজার জনতাকে আহবান জানাতেন এবং ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নবীনগরের রাজপথ, পথসভায়, জনসভায় এবং ভারতের ত্রিপুরায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গিয়ে সংগ্রামী গণসংগীত মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা জোগাতেন ততকালীন ছাত্রলীগের এই একনিষ্ঠ কর্মী।
এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধোত্তর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে
বাংলায় এম এ পাশ করে সরকারি আবগারি বিভাগে চাকুরী হতে অবসরে পর ঢাকার ছায়ানটে সংগীত
শিক্ষক হিসেবে বেশ কিছু দিন ছিলেন। পরবর্তীতে নবীনগর মহিলা কলেজে খন্ডকালিন অধ্যাপনায় নিযুক্ত ছিলেন এবং নবীনগরে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়েছিলেন যার নাম ত্রিবেনী সংগীতাংগন। উনার বাবা নবীনগর বাজারের প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী মোকবুল হোসেন ভূঁইয়া (ফালু ভূঁইয়া)। তার ছোট ভাই জালাল উদ্দীন ভূঁইয়া যিনি তিতাস বিপ্লব হিসাবেও নবীনগরে পরিচিত।
এই গুণী মানুষটির মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন নবীনগরের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সহ সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দরা।