১৫ এপ্রিল (তিতাস নিউজ): বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের জামিনের বিষয়ে আজও আদালতে ফয়সালা পাওয়া যায়নি।
বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন। পল্টন ও মতিঝিল থানায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দুটি মামলার জামিন শুনানিতে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি দুই মামলায় আব্বাসকে তিন সপ্তাহের আগাম জামিন দিলেও কনিষ্ঠ বিচারপতি এর বিরোধিতা করেন।
বিষয়টি ফয়সালার জন্য এখন তৃতীয় কোনো বেঞ্চে যেতে হবে। এ অবস্থায় মামলা দুটির জামিন শুনানি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি তৃতীয় কোনো বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন।
এর আগে, সোমবার শুনানি শেষে আব্বাসকে বুধবার আদেশ দেয়ার আগ পর্যন্ত গ্রেফতার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দেন আদালত।
একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে তিনি কোনো নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেয়া, এমনকি নির্বাচনী বক্তব্য বা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতে আব্বাসের পক্ষে তিনটি আবেদন করা হয়। এর মধ্যে হরতাল-অবরোধে গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা দুটি এবং দুদকের দায়ের করা শাহবাগ থানায় একটি মামলা প্রসঙ্গে।
হাইকোর্টের আজকের বিভক্ত রায় সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের চেয়ারম্যান আধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ রেডিও তেহরানকে কলেন, আদালতকে তার বিধানমতে এগুতে হবে। তবে মির্জা অব্বাসের স্ত্রী যাতে আবাধে প্রচারণা চালাতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। ড. কলিমুল্লাহ এটাও উল্লেখ করেন যে, এদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এমন উদাহরণ রয়েছে যেখানে কারাগারে থেকেও প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
আগামী ২৮ এপ্রিল আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রার্থী মির্জা আব্বাসের জামিনের বিষয়টি ফয়সালা হতে বিলম্ব হবার ব্যাপরে ব্যাখ্যা করে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, সরকার আইন আদালতের ওপর অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলছে। তিনি বলেন,সিনিয়র বিচারপতির জামিন মঞ্জুরের রায়ের কারণে মির্জা আব্বাস পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত জামিনেই থাকবেন।
অ্যাডভোকেট মাসুদ বলেন, সরকার নির্বাচন ঘোষণা করে ফাঁদে পড়ে গেছে। তারা এখন আতঙ্কিত। তাই নিজেদের প্রার্থীদের পরাজয় ঠেকাতে প্রতিপক্ষের শক্তিশালী প্রার্থীদের নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকগণ মনে করেন, ভোটাররা সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারলে সরকারী মহলের কারসাজী বা কূটকৌশল তেমন একটা কাজে আসবে না।