(মোহাম্মদ শাহজামান) বৃটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ এর একটি প্রোগ্রাম “কানেক্টিং ক্লাস রুমস অনলাইন”- যার মাধ্যমে কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পৃথিবীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সাথে বিশ্বে বিরাজমান বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে পার্টনারশীপ প্রকল্পের কাজ করে আসছে।
গত ২০১৩ সালে অনলাইন পার্টনারশীপ হয় বাংলাদেশের লালমনিরহাটস্থ কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও বৃটেনের লন্ডনস্থ একটি বিদ্যালয় স্যার জন ক্যাস রোড কোর্ট সেকেন্ডারী স্কুল- এর মধ্যে। কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব খুরশীদুজ্জামান আহমেদ লন্ডনস্থ স্যার জন ক্যাশ রোড কোর্ট সেকেন্ডারী স্কুল এর বাংলা বিভাগের প্রধান স্যার বদরুল আলম- এর সঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ এর নির্ধারিত ওয়েব সাইট- এ তারা উভয়ে “আইডিয়া সেয়ারিং”- এ মেতে উঠেন। এক পর্যায়ে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে দু’ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কথোপকথন জমে উঠে। কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের কাছ থেকে ইংরেজী শিখতে শুরু করল। আর তারা বাংলা রপ্ত করার জন্য বাংলাদেশের এই বিদ্যালয়টির সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করতে শুরু করল। ফলে দ্বিতীয় বারের মত লন্ডনের বাংলা বিভাগের প্রধান স্যার বদরুল আলম কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন। একই সাথে কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব খুরশীদুজ্জামান আহমেদ লন্ডনের সেই পার্টনার স্কুলটি গত ৪ – ১২/১২/২০১৪ ইং তারিখে পরিদর্শন করে আসেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ তাকে এই প্রশাসনিক শিক্ষা সফরটির সমন্বয় করেন। স্যার বদরুর আলম কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়টি পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে আজ সকাল ৭.৩০ মিঃ সৈয়দপুর বিমান বন্দর থেকে সরাসরি এই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানে তিনি গার্ড অব অনার গ্রহণ, ক্লাস পরিদর্শন, শিক্ষক-ছাত্র সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন। প্রধান অতিথি স্যার বদরুল আলম বলেন, কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পরিবেশ গ্রাম থেকে শহর বাংলাদেশ থেকে লন্ডন এর ধারণা পাল্টে দিয়েছে। এ বিদ্যালয়টির মত এ দেশের সকল বিদ্যালয়ের গতিময়তা থাকলে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে।
বিকেলে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে এক খোলামেলা আলোচনায় অংশ নেন এবং দু’দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। পরিশেষে তিনি আবারো এই বিদ্যালয় পরিদর্শন করার আশাবাদ ব্যক্ত করে বিদায় নেন।