তিতাস নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশের চেয়েও সাইজে বড় সুপার সাইক্লোন (ক্যাটাগরি ফোর) মোখা কয়েক ঘন্টা পর কক্সবাজার আর সেন্টমার্টিনস এর উপর দিয়ে যাবে ২০০ কিলোমিটার/ঘন্টা বেগে। স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আমাদের রূপসী দ্বীপ। জলোচ্ছ্বাস হতে পারে ২০-৫০ ফুট (দোতলা থেকে পাঁচতলা উঁচু)। ছয়টি জেলায় রয়েছে জলোচ্ছ্বাস, ভূমিধ্বস, বন্যার সম্ভাবনা। রয়েছে পুরোদেশজুড়ে স্টর্মকোয়াকের (ঝড়পরবর্তী ভূমিকম্প) আশংকাও। চাকুরীর খাতিরে ঘূর্নিঝড় আইলার সময় উপকূলে দায়িত্বপালন করতে হয়েছে৷ এ যে কি এক বিভীষিকাময় রাত, যে রাত আসলে কখনোই শেষ হবার নয়। হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী, প্রশাসন, কোস্টগার্ড, বিজিবি, স্বাস্থ্যবিভাগ, নেভী, সেনা, পুলিশ স্ট্যান্ডবাই থাকে যাতে একটি প্রাণও ঝরে না পড়ে। ঝড়পরবর্তীসময়টাতো আরো বীভৎস! প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলায় বাংলাদেশের স্ট্যান্ডিং অর্ডার অন ডিজাস্টার (SOD) হলো বিশ্বের বিস্ময়। এই স্থায়ী আদেশে রাষ্ট্রের প্রতিটি সেবক জানে তার দায়িত্ব। এই এসওডির উপর দাঁড়িয়েই বাংলাদেশ মোকাবেলা করেছে বিগত প্রায় দশটি ঘূর্ণিঝড়। দায়িত্বপালন, প্রার্থনা আর সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এবারো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকুক বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ, আমার বাংলাদেশ। আমিন।