দাউদকান্দি গৌরীপুরের বেশীর ভাগ ক্লিনিক(হাসপাতাল) গুলিতে প্রতারনার আখড়া, দালালদের দৌরাত্ব, গাইনী সার্জন ও ক্লিনিক মালিকদের সিজারের রমরমা ব্যাবসা। একটি প্রাইভেট হাসপাতাল চালাতে যে সকল বিধিবাধ্যকতা আছে বেশীর ভাগ হাসপাতালে তা নেই। ডিউটি ডাক্তারের কাজ করে সিস্টার বা ম্যানেজার, সিস্টারের কাজ করে আয়া, দারোয়ান করে ব্রাদারের কাজ এমনকি কিছু হাসপাতালে অনেক দিনের কমপাউন্ডার হিসাবে কাজ করার সনদ দেখিয়ে নিজে ডাক্তার, সনোলজিষ্ট, প্যাথলজিষ্ট, সিস্টার, ম্যানেজার, মালিকের কাজটি করে থাকেন, তাহলে বুঝেন একজন যদি এত কাজের কাজি তাহলে কি হচ্ছে? এমনও শোনা যায় একজন রোগী যখন প্রসব ব্যাথা নিয়ে আসে ডাক্তার আছে বলে আশ্বস্ত করে, তারপর সিস্টার (সাদা এপ্রোনের দোহাই দিয়ে) প্রেসার দেখে, জরায়ুর পথ দেখে, আলট্রাসনোগ্রাফি করার নাম করে রোগীর আত্বীয় স্বজনকে রোগীর খারাপ অবস্থা বলে ভয় দেখিয়ে দেয়, এমনকি নরমাল ডেলিভারী
হওয়ার মত রোগিদের বিভিন্ন কায়দায় সিজার করাতে বাধ্য করে। কারন তাদের নরমাল ডেলিভারি থেকে সিজারে লাভ বেশী। আরো অনেক রকমের চিকিৎসা সেবায় দুর্নীতির ঘাটি। শেষ কথা একজন ডাক্তারের উপর ভরসা করে রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন কিন্তুু কিছু অসাধু ব্যাক্তির অসৎ কাজের জন্য ডাক্তার নামকে কলংকিত করে আজ প্রকৃত ডাক্তারদের সন্মানকে কোথায় উঠিয়েছে আপনারা সাধারন মানুষ বিবেচনা করুন। গৌরীপুরের মত ১টা ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রায় ৪০টি হাসপাতাল কেন ???? জনসাধারনের অসচেতনতার জন্যই আজ সমাজের এই দশা।।।।। আসুন সবাই সজাগ হই, নিজের অধিকার আদায় করে নেই।।।
ডা: এম.এম. হক
গৌরীপুর