ডাঃ পারুল জাহান।প্রফেসর এবং বিভাগীয় প্রধান উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ১৯৫৭ সালে দাউদকান্দি উপজেলার বাহেরচর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি নারায়নগঞ্জ সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও ইডেন কলেজের ছাত্রী ছিলেন। সমাজ হৈতেষী ডাঃ পারুল জাহান ১৯৮৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস, ডিজিও, এফসিপিএস ডিগ্রীলাভ করেন। ১৯৯৩ সালে গাইনি চিকিৎসক হিসেবে উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি একই হাসপাতালে গাইনি বিভাগের প্রধান ও প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন।
তিতাস উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জগতপুর (পূর্ব) সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের সভাপিত ও জগতপুর সাধনা উচ্চ বিদ্যালয়ের কো- চেয়ারপার্সন। তিনি জগতপুর সাধনা উচ্চ বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান, প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা পরিবারের সদস্য, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ডাঃ রওনাক আহমেদের সহধর্মিণী।
পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তিনি ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জার্মানি, ইতালি, চেক রিপাবলিক, নেদারল্যান্ডে চিকিৎসা বিষয়ক সেমিনারে যোগদান সহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ স্থানীয় হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি এলাকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে সহায়তা, বাল্য বিবাহ রোধ ও যৌতুক প্রথা নিরুৎসাহিত কল্পে কাজ করে যাচ্ছেন। বিনা মুল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এলাকার দুঃস্থ ও গরীব রোগিদের। প্রকৃতিপ্রেমী ডাঃ পারুল জাহান ঢাকা ও গ্রামের বাড়িতে নিজেই বাগান পরিচর্চা করেন শত কর্ম ব্যাস্ততার ফাঁকে। নিজ হাতে রোপন করেছেন দেশী বিদেশী নানা প্রজাতির ফুল-ফলের বৃক্ষ। তিনি ভ্রমন করতে পছন্দ করেন।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী স্থান গুলোতে ঘুরে বেড়িয়েছেন পরিবার সমেত।তিনি দুই সু পুত্রের জননী।
তিতাস উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আরা বলেন, পুরুষশাসিত সমাজের সব বাঁধা ও প্রতিকুলতা পেরিয়ে জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে পেরে প্রমান করলেন তিনি একজন জয়িতা।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মকিমা বেগম বলেন, জীবনের বাঁধা বিপত্তিকে ঠেলে দৃঢ় মনোবল তার কর্মস্পহা নিয়ে কাজ করলে সফলতা অবশ্যই আসবে। প্রফেসর ডাঃ পারুল জাহানের সাফল্য পরবর্তী নারী প্রজন্মকে উৎসাহী করবে বলে আমার বিশ্বাস।
-দীন ইসলাম
এডমিনঃ তিতাস নিউজ 24/7
তথ্য সংগ্রহঃ সাংবাদিক নাজমুল করিম ফারুক।
ডাঃ পারুল জাহানের ফেইসবুক প্রোফাইল।