১৯ জুলাই (তিতাস নিউজ): বিশ্বব্যাপি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ধরন পাল্টে যাওয়ায় তা মোকাবিলায় দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও কাজের ধরণ পাল্টাতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্বে যেহেতু প্রযুক্তি ব্যবহার বেড়ে গেছে। জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের দিক থেকেও বেড়েছে।
সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ নিতে হবে, প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা অর্জন করতে হবে। এটার জন্য যা যা প্রয়োজন অবশ্যই সরকার তা করবে।
আজ (মঙ্গলবার) সকালে তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) –এর ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ধরন পাল্টাচ্ছে। তাই এসব বিষয়ে আরো প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রতিটি বাহিনীকে আরো সচেতন হয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
ধর্মের নামে ধর্মান্ধতার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মের মূল বাণীটা যেন সঠিকভাবে শিখতে পারে সে ব্যবস্থাটা নেয়া উচিত। এটা প্রতিটি ধর্মের ক্ষেত্রেই হওয়া উচিত। প্রতিটি ধর্মেই শান্তির বাণী বলা আছে। ধর্মের নামে ধর্মান্ধতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটা শুধু বাংলাদেশেই না বিশ্বের অনেক দেশেই হচ্ছে।
জঙ্গিবাদের শেঁকড় উপড়ে ফেলার প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেন, ধর্মের দোহাই দিয়ে মেধাবী তরুণদের উগ্র জঙ্গিবাদে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এরসঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের মূলোৎপাটন করা হবে। ধর্মকে কোনোমতেই অসম্মানিত হতে দিতে পারি না। যাদের কারণে এগুলো হচ্ছে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা ও আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সময় কাটান। তাদের মনের কথাটা শোনার চেষ্টা করেন। তাদের সঙ্গ দেন। তাদের কী চাহিদা সেটা জানা, ভালো-মন্দ, সমস্যা দেখা, মন খুলে কথা বলতে পারার সুযোগ করে দেয়া দরকার। আর সন্তানেরা কীভাবে চলছে, কী করছে, কাদের সঙ্গে মিশছে, সেদিকেও বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়ার আহবান জানান শেখ হাসিনা।