মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর পৌর এলাকার খাজানগর গ্রামের হামিদা বেগম। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে অসহায় এ হামিদা উন্নত চিকিৎসার সাহায্যের জন্য বিত্তশালীদের কাছে ঘুরেও কোন সুফল পাচ্ছেন না। অভাবের সংসারে কোনমতে জীবন যাপন করলেও উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না হামিদা বেগম। অনেক কস্টে অন্যের দেয়া খাবার খেয়ে, কখনওবা একাধারে কয়েকদিন শুধু পানি পান করে কোনমতে জীবন যাপন করেছেন হামিদা সহ তার ৪ কন্যা সন্তান । এছাড়াও একটি কিডনি বিকল হয়ে গেছে। কেটে ফেলা হয়েছে তার ডান পা । তাকে বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। যা তার পরিবারের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়। এখন তিনি মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।
এদিকে স্ত্রীর চিকিৎসার অর্থ জোগাতে এখানে-সেখান ছুটে বেড়াচ্ছেন অসহায় হামিদার স্বামী বৃদ্ধ লিলু মিয়া। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনিও উপার্জনহীন।
লিলু মিয়া বলেন,একসময় শরীরে শক্তি ছিল, পরিশ্রম করতে পারতাম। এখন বয়স হইছে, কাজ ঠিকমতো করবার পাই না। এমনিতে আমাদের অভাবের সংসার।
আমাদের কোন ছেলে সন্তান নেই,চার মেয়েকে নিয়ে কোনভাবে জিবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। তার মধ্যে আমার স্ত্রীর হামিদা বেগম অসুস্থতাজনিত কারনে,অর্থের অভাবে তার সঠিক চিকিৎসা করাতে পারতেছিনা।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে হামিদার প্রতিবেশীরা জানান, প্রতিমাসে ডায়ালাইসিস করা নয়তো কিডনি প্রতিস্থাপনেরমাধ্যমে হামিদাকে বেঁচাতে হবে।কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ছয়-সাত লাখ টাকা প্রয়োজন। প্রতিমাসে ডায়ালাইসিস করতে প্রয়োজন ২০-২৫ হাজার টাকা।যা তাদের পক্ষে ব্যয় বহন করা সম্ভবপর হবে না। তাই হামিদাকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চান তারা। মৃত্যুপথযাত্রী হামিদাকে সহযোগীতার জন্য অনুরোধ করেছেন এলাকাবাসী ।
সাহায্য পাঠানোর জন্য হামিদার মেয়ে ফাতেমা বেগম যোগাযোগের বিকাশ,মোবাইল নাম্বারঃ +880 16 0939 7742